23 Dec 2024, 11:53 pm

বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে সহযোগিতা বাড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :   কোরিয়া প্রজাতন্ত্র জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-কে ২০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি নতুন অনুদানের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা বাড়িয়েছে।

এই সময়োপযোগী অর্থায়নের ফলে ডব্লিউএফপি প্রায় ৭৬,০০০ রোহিঙ্গাকে সহায়ত এবং তাদের জন্য দুই মাসের জন্য মাথাপিছু ১২.৫০ মার্কিন ডলারের সম্পূর্ণ রেশন সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ডব্লিউএফপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  বলা হয়, বাংলাদেশে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, দ’কোরিয়ার চাল অনুদান জুলাই ও আগস্টে দেওয়ার পাশাপাশি এই সাম্প্রতিক অবদানে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা আশা করি আরও অংশীদাররা তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসবেন।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, কোরিয়ার সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমে ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখে চলেছে।

খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি, ডব্লিউএফপি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পুষ্টি, স্কুল খাবার, স্থিতিশীলতা গড়ে তোলা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে আসছে। একইসঙ্গে কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশি সম্প্রদায়কেও পুষ্টি, জীবিকা নির্বাহের সহায়তা এবং স্থিতিশীলতা তৈরিতে সহায়তা করছে।

চলমান চাহিদা সত্ত্বেও, মানবিক অংশীদাররা তহবিল ঘাটতির সম্মুখীন হওয়ায় সহায়তা কমাতে বাধ্য হচ্ছে। ২০২৩ সালে, খাদ্য রেশন মাথাপিছু ১২ মার্কিন ডলার থেকে মার্চ মাসে ১০ মার্কিন ডলারে এবং জুনে ৮ মার্কিন ডলারে কমিয়ে আনা হয়।

রেশন কমানোর পর, ডব্লিউএফপি’র পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে খাদ্য গ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে এবং বৈশ্বিক তীব্র অপুষ্টি  অথবা গ্লোবাল একিউট ম্যলনিউট্রিশন (জিএএম) ১৫.১%-এ পৌঁছেছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫% জরুরি সীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং ২০১৭ সালের সংকটের পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি। এছাড়া, ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড, জলবায়ুজনিত ঝুঁকি (যেমন বন্যা ও ভূমিধস), এবং নিরাপত্তাহীনতার মতো ঘন ঘন বিপর্যয় রোহিঙ্গাদের দুর্বলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায়, ডব্লিউএফপি ২০২৪ সালের শুরুতে এবং আগস্টে রেশন বাড়িয়ে মাথাপিছু ১২.৫০ মার্কিন ডলার পুনর্বহাল করেছে। প্রথমবারের মতো সাহায্য প্যাকেজে পুষ্টিসমৃদ্ধ চালও যোগ করা হয়েছে। পরবর্তী বছর পর্যন্ত পূর্ণ রেশন এবং অন্যান্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে ডব্লিউএফপি’র প্রায় ৮ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল প্রয়োজন।

ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কাল্পেলি বলেন, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের অবদান সময়োপযোগী এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবন বাঁচাতে এবং রোহিঙ্গাদের ক্ষুধা লাঘব করতে সহায়তা করেছে।

তিনি এই কঠিন সময়ে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র ও কোরিয়ার জনগণের সহানুভূতি ও সংহতির জন্য ধন্যবাদ জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 5872
  • Total Visits: 1417676
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1675

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)
  • ২১শে জমাদিউস-সানি, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, রাত ১১:৫৩

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
      1
23242526272829
3031     
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018